প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ঐতিহ্যবাহী পালাসুতা হাজী মফিজ উদ্দিন দারুচ্ছুন্নাৎ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা ০১/০১/১৯৮৮সালে পালাসুতা গ্রামের কৃতি সন্তার সাবেক সফল [১৯ নং দারোরা ইউনিয়ন পরিষদ] চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রসিদ সরকার এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় তাঁহার পিতা হাজী মফিজ উদ্দিন এর নামানোসারে অত্র মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রাথমিক অনুমতি পায় । ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। তারপর অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান টি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে । শিক্ষকদের আন্তরিক পাঠদান, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী রাজনৈতিক , সামাজিক, ধর্মীয় তথা বিভিন্ন পেশজিবী ব্যাক্তিবর্গের ঐক্যান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে।

সুপারের বাণী

image-not-found

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
সমস্ত প্রশংশা ঐ আল্লাহ তায়ালার যিনি আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং আমরা যা জানতাম না তা শিক্ষা দিয়েছেন। দরুদ ও সালাম মানবতার মুক্তির দিশারী সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর প্রতি যাকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। সাথে সাথে অত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পৃক্ত থেকে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। দুনিয়া আমাদের স্থায়ী নিবাস নয়। আমাদেরকে অবশ্যই মৃত্যু বরণ করতে হবে, তাই পরকালীন সম্বল অর্জন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমরা চাই এ দেশের প্রতিটি নাগরিক ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। ইসলামি তাহজীব-তমুদ্দুন সমৃদ্ধ নৈতিক চরিত্রবান ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে উঠুক, জ্ঞান বিজ্ঞানের উচ্চ শাখায় বিচরণ করুক। ইসলামি ও সাধারন শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে উঠা ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান পালাসুতা হাজী মফিজ উদ্দিন দারুছুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার আসাতাজায়ে কেরাম, পরিচালনা কমিটি, গ্রামবাসী সকলেই সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। আল্লাহ যেন সকলের চেষ্টাকে কবুল করেন। পরিশেষে সকলে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখবে এই প্রত্যাশা করছি।

সভাপতির বানী

image-not-found

০১/০১/১৯৮৮ সালে পালাসুতা হাজী মফিজ উদ্দিন দারুচ্ছুন্নাৎ নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কুমিল্লা জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।